মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হাটবোয়ালীয়া মেন সড়কের পাশে মড়কা বাজার এলাকায় বানিয়াপুকুর মোড় নামক স্থানে সরকারি রাস্তা ও খালের উপর পাকা দোকান ঘরটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী।ইতোমধ্যেই কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,দোকান ঘরটি নির্মিত হলে বর্ষাকালে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যহত হবে। এছাড়াও পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হবে।
স্থানীরা জানান,গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে আলাউদ্দিন হাটবোয়ালীয়া মেন সড়কের পাশে মড়কা বাজারের বানিয়াপুকুর তিন রাস্তার মোড় এলাকার ব্রিজের গোড়ায় সরকারি খালের উপর পিলার দিয়ে আলাউদ্দিন নামের একজন দোকান ঘরটি নির্মাণ করছেন।তিনি স্থানীয়ভাবে খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী তাকে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।তাদের অভিযোগ, খাল দখল করে এটি নির্মাণ করার ফলে বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটবে।সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হবে।
মড়কা বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন,সরকারী রাস্তা এখানে দুই চেন চওড়া মাঠের পানি বের হওয়ার জন্য সরকারী ভাবে খাল রয়েছে।সেই খালে অবৈধভাবে পিলার দিয়ে দোকান ঘরটি নির্মাণ করার সময় আমি বাধা দিয়েছি।কিন্তু আলাউদ্দিন বাধা উপেক্ষা করেই দোকান নির্মাণ করছেন।’
এব্যাপারে মড়কা বাজার কমিটিরি সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বলেন,বাজারে কে কখন দোকান ঘর নির্মাণ করছে আমি জানিনা।তবে শুনেছি এই রাস্তার জমি দুইচেন চওড়া সরকারী ভাবে আজ পর্যন্ত জরিফ করেনি।সরকারী ভবে জরিফ করার দরকার।
এব্যাপারে রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলাইন সেপুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
এব্যাপারে আলাউদ্দিন বলেন,সরকারী রাস্তা আমাদের জমির উপর দিয়ে গিয়েছে খালের পাশের জমি আমাদের সরকারি খালের উপর দোকান নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে বলেন,‘খালের আশপাশের জমি আমাদের।তাই আমি খালের উপর পিলার দিয়ে দোকান নির্মাণ করছি। এতে পানি নিষ্কাশনের কোন অসুবিধা হবেনা।’এছাড়ও তিনি বলেন জমির কাগজপত্র আমাদের নামে আছে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে কোন ব্যাক্তি যদি সরকারী খালও সরকারী রাস্তা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণ করে।তাহলে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।সরকারি খাল কাউকে দখল করতে দেয়া হবেনা।’
লিটন
লিটন মাহমুদ
