সার্বজনীন সাক্ষরতা, আচরণগত পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র ঋণ, ওয়াটসান, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, পুষ্টি শিক্ষা বিষয়ে কার্যক্রম নিয়ে কাজ করেন মাঠে। কিন্তু মেহেরপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ এক্সটেনশন এডুকেশন সার্ভিসেস (বিজ) নামে একটি এনজিও।
বিজ এ ধরণের আমানত সংগ্রহের কোন অনুমোদন দেখাতে না পারলেও তারা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে পোস্টার ও প্রচার পত্রের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচরণা চালিয়ে আমানত সংগ্রহ করছেন। বিজের দাবি তারা ব্যাংকের চেয়েও নিরাপদ ও লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজের এক মাঠ কর্মী জানান, গত ১ বছরে মেহেরপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই আমানতের পরিমান প্রায় কোটি টাকা।
বিজের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, ভাই শুধু লাভ আর লাভ। টাকা রাখবেন মাস শেষে লাভ নিয়ে যাবেন এমন লাভ কেউ দিতে পারবেনা। তাদেরএ কার্যক্রমের অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন আছে কিনা আমার জানা নেই তবে সমাজসেবা, মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ও এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত। মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলা, বারাদী ইউনিয়ন ও মুজিবনগর উপজেলায় আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্র্ায় ৪৫ বছর ধরে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে তবে ডিপোজিট প্রোগামটা নতুন। গত ১ বছর ধরে শুরু হয়েছে। এ প্রোগ্রামে ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো ব্যক্তি মেহেরপুর সদর উপজেলা অফিসে ডিপোজিট করেছে।
বিজের কপ্লেন অফিসার বকুল হোসেন বলেন, মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেই, তাতে কি? আমরা মানুষের উপকার করছি। ব্যাংকে টাকা রাখা এখন বিপদজনক। সেখানে ভ্যাট ট্যাক্স কাটে। বছর শেষে মূল টাকায় কমে যায়। আর আমাদের এখানে ভ্যাট ট্যাক্স লাগেনা। আমরা এক লাখ টাকা নিয়ে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ করি। সেখানে গ্রাহককে ব্যাংকের চেয়ে বেশি লাভ দেবো সমস্যা কি? এ বিষয়ে তর্ক না করে মাঝে মধ্যে এসে চা খেয়ে যাবেন, আমাদের ভালো লাগবে। আপনিও এখানে টাকা রাখেন লাভোবান হবেন।
মেহেরপুর এনজিও সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, একেকটি এনজিও একেকভাবে পরিচালিত হয়। একেক জনের নিয়ম কাননও আলাদা। আসলে মোবাইলে এটা বোঝানো সম্ভব নয়। অফিসে আসুন চা খেতে খেতে এ বিষয়ে আলাপ করা যাবে।
previous post