নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রামে ইউপি নির্বাচনের ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ও বাওট গ্রামের বাসিন্দা সাহাবুদ্দীনসহ উভয়পক্ষের ৫জন আহত হয়েছেন।
এরা হলেন সাহাবুদ্দীন মেম্বরের কর্মী ও বামন্দী শহরের বাসিন্দা কনক হোসেন (৪০) একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর নিয়ামত আলীর পক্ষের কর্মী ও বাওট গ্রামের বাসিন্দা মুন্টু মিয়া (৫৫),তার ছেলে এখলাছুর রহমান (২৫) এবং মুন্টুর স্ত্রী বুলুয়ারা খাতুন (৫০)।
রবিবার দিবাগত মধ্যেরাতে বাওট গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, আগামী ১১ নভেম্বর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে রবিবার রাতে বাওট গ্রামের মেম্বর ও বাওট গ্রাম আওয়ামী লীগ সাধারণ সস্পাদক সাহাবুদ্দীন এবং সাবেক মেম্বর নিয়ামত আলীর লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এসময় ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত সাহাবুদ্দীন মেম্বর জানান,আমার দু’কর্মী রমজান আলী ও আব্দুস সামাদ গ্রামের একটি দোকানে বসে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করছিলেন। এসময় সাবেক মেম্বর নিয়ামত আলীর পক্ষের কর্মী এখলাছুর রহমান তাদের হুমকি প্রদান করেন। এনিয়ে আমিসহ আমার লোকজন এখলাছকে বলতে গেলে,সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোহার রড দিয়ে আমাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এখলাছ একজন মাদক কারবারি । তার এ কুকর্মে আমি বাঁধা প্রদান করার কারণে,প্রায়ই আমাকে হুমকি প্রদান করে আসছিল।
এবিষয়ে সাবেক মেম্বর নিয়ামত আলী জানান,এখলাছুর রহমান গত ইউপি নির্বাচনে সাহাবুদ্দীনের কর্মী হিসাবে ভোট করেছিলেন। সাহাবুদ্দীন মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার পর নানা ভাবে দুর্নীতি শুরু করেন। যার কারণে কর্মী এখলাছু সাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে সরে এসেছেন।এ জন্যই ক্ষিপ্ত হয়ে সাহাবুদ্দীন তার লোকজন নিয়ে এখলাছসহ তার পরিবারের লোকজনকে হামলা করেছেন।এদিকে এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলার প্রস্তুতি চলছে।গাংনী থানা সূত্র জানায়,অভিযোগ পেলে,তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।