মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় দুটি এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৩০ বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সহ ০৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ০৩/০৫/২৪ রোজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা কৃষক সেজে, উপজেলার সহড়াতলা সিমান্ত এলাকা থেকে ১০০ বোতল এবং,উপজেলার, বামন্দী রামনগর সড়কের নওদা ছাতিয়ান থেকে ৩০ বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। এসময় মাদক বহনের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের নামে মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হবে বলে যানা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলার বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই শরিফুল ইসলাম জানান,গাংনী উপজেলার বামুন্দী রামনগর সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নওদাছাতিয়ান ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। এসময় রামনগর থেকে বামন্দী অভিমুখে আসা একটি ইজিবাইক থামিয়ে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসময় মাদক বহনের দায়ে আটক করা হয় কুষ্টিয়ার, কাতলামারী গ্রামের মামুন মন্ডলের পুত্র অনিক ইসলাম ও ইজিবাইক চালক দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি গ্রামের নাহারুল ইসলামের পুত্র, জানিছুর রহমান। মাদক সহ পুলিশের হাতে আটক অনিক জানায়, সে শ্রমিক হিসেবে ফেন্সিডিল নিয়ে ফিরে যাবার সময় পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে ফেন্সিডিল দাতা ও গ্রহীতাকে সে চেনে না।
অপরদিকে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শরিফুল ইসলাম, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৃষক সেজে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহড়াতলা গ্রামের একতার আলীর পুত্র একরামুলকে আটক করে,এসময় তার হেফাজতে থাকা ভারতীয় ১০০বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদক সহ আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হবে।এ বিষয়ে এএসআই শরিফুল ইসলাম আরো জানান, আটক একরামুল হক সম্প্রতি সময়ে ভারতীয় মদ সহ আটক হয়ে কারাগারে ছিল। জামিনে এসে আবারো মাদক ব্যবসা শুরু করেছে।।