গাংনী অফিস:মেহেরপুরের গাংনীতে রেকর্ডকৃত বৈধ মালিকানা জমিতে থাকা বসত বাড়ী ভাংচুর করে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জবরদখলের পায়তারা চালা”েছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিয়োগ সুত্রে জানা গেছে গাংনী উপজেলার জালসুকা গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে আহমেদ আলীর কসবা মৌজার আর এস খতিয়ান নং ১০৩ আর এস দাগ নং ১০৭৮,শ্রেনী বাড়ী জমির পরিমান ১৭শতক কবলা দলিল মূলে ১৭ শতক জমি বৈধ মালিকানা জমি। ও একই মৌজার সরকারী খাস ১নং খতিয়ানের আর এস দাগ ২৫৬৩ দাগে ৬৫ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক জমিতে ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ ৩৫ বছর বাড়ী করে বসবাস করে আসছেন। সরকারী খাস জমি জবরদখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আজিমদ্দীনের ছেলে মসলেম আলী গোপনে অন্যনের জমিতে থাকা ঘরসহ বন্দোবস্ত নিয়ে আহমেদ আলীর বসত বাড়ী ভাংচুর করে দখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আহমেদ আলী। স্থানীয়রা বলেন, সরকারী খাস জমিতে প্রায় ১৪টা পরিবার বসবাস করে আসছেন।মসলেম আলী হঠাৎ সরকারী জমি তার দাবী করে ২৫৬৩ দাগে ভূমিহিন হিসেবে গোপনে অন্যনের ঘরসহ বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে।এছাড়াও প্রতিবেশী মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে আঃ খালেক,মৃত রবগুলের স্ত্রী অহিমন নেছার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।বিয়ষটি সরকারী ভাবে সমাধান না হলে রক্ত খুনি সংর্ঘষের আশংখা করছে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য: সরকারী খাস জমি নিয়ে গাংনী উপজেলার জালসুকা গ্রামে বন্দোবস্তকৃত জমিতে জোরপূর্বক পাকা দালাল তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে জালসুকা বালিপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কয়েকজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতরা হলেন ,জালসুকা গ্রামের মৃত কফিলউদ্দীনের ছেলে আহমেদ আলী (৭০), মনিরুদ্দীনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৫৫), রুহুল আমিন (৩০), আসাদুলের ছেলে রিপন (২৬), আনারুলের স্ত্রী সাগরা খাতুন (৩০), রুহুল আমিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম(২০)।মনিরু উদ্দিনের ছেলে টুটুল (২৫) আহত হয়। অন্যদিকে সরকারী জমি দখলকারী জালসুকা বালিপাড়া গ্রামের মৃত নবীছদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহমান (৬২),আজিমদ্দীনের ছেলে মসলেম আলী (৬৫),মসলেমের ছেলে মহসিন আলী(৪৮), শাহজাহান আলী (৪৫),গোলাম হোসেন (৩৭),মসলেমের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৫৫), গোলাম রসুলের স্ত্রী নার্গিস খাতুন (২৮) ¯’ানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বাড়ির পার্শ্বে মাত্র ৫ পয়েন্ট খাস জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তাদের মধ্যে। উক্ত জমি আব্দুর রহমান গোপনে সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নেয়।তার জমি জমা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ পত্র তার নামে করে নিয়েছে। আহমেদ আলী মালিকানা ১৭ শতক ও সরকারী ৩ শতক খাস জমিতে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বসবাস করেছে।৩শতক সরকারী খাস জমি দখল নেওয়া কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোর সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। আহত মহসিন আলী জানান, গ্রামের আসাদুল ,আনারুল ও জহরুলের ইন্ধনে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের সরকারী বন্দোবস্তকৃত জমি দখল নিতে চায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড,লাঠি, ফলা, হাসুয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে।সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।পরে গুরুতর জখম আসাদুল ও সাগরার অবস্থা গুরুতর হলে তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।আহতদের গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।