মেহেরপুরে বসত বাড়ির দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে শারমিন সুলতানা নামের এক ভুক্তভূগী নারী। শারমিন সুলতানা মেহেরপুর শহরের নতুন শেখপাড়া প্রবাসী মিথুন আলীর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভূগী তার বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩ বছর পূর্বে মেহেরপুর পৌরভার ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক প্লান অনুমোদনের মাধ্যমে কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়ায় বাড়ির পোতা ও এক তলার কাজ শেষ করি। গত ৬ এপ্রিল দ্বিতীয় তলার পিলারের কাজ শেষ করে শাটারিংয়ের কাজ করার সময় প্রতিবেশী আব্দুল আজিজের ছেলে নুরুল ইসলাম পৌরসভায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করার অভিযোগ করে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা সম্পর্কে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও সমাধানের জন্য বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে। গত ১৩ মে পৌরসভা শাটারিংয়ের কাজের জন্য মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত দেয়।
সে মতে ১৪ মে থেকে আবারও শাটারিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু নুরুল ইসলাম হঠাৎ করে সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে এসে কাজের লেবারদের হুমকি-ধামকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সে আদালতে ১৪৫ ধারা মতে একটি পিটিশন দায়ের করে। যার নং-২৪১/২৫। এ বিষয়ে পৌর ভূমি অফিস তদন্ত প্রতিবেদনে জানায় উভয় পক্ষ নিজ নিজ জমিতে বসবাস করছে। কারো জমি কারোর ভিতরে নাই। কিন্তু ওই পিটিশনের প্রেক্ষিতে সদর থানার এএসআই দেবদাস কুমার আমাদের কাজে বাঁধা প্রধান করে এবং কাজের লেবারদের হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এএসআই দেবদাস কুমারের প্রত্যক্ষ মদদে ও তার উপস্থিতে নুর ইসলাম আমার সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দেয় এবং মিস্ত্রিদের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। শুধু তাই নয় সে রাস্তা বন্ধ করে আমার চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং রাস্তার উপর ম্যানহল বসিয়েছে। আমি একজন নারী। আমার স্বামী প্রবাসী হওয়ার সুবাদে নুরুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে আমার উপর জুলুম অত্যাচার করছে। আমি এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।