মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এদেশকে আমরা হাসিনার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। এই রক্তাক্ত জুলাইয়ের মধ্যদিয়ে আমরা যে দাবী তুলেছিলাম সেই দাবী ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ। আজকে চর্তুদিকে ষড়যন্ত্র চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। এই ষড়যন্ত্রকে যদি রুখতে চান তাহলে অবিলম্বে মানুষের যে সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে এই দেশকে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার সুযোগ করে দিতে হবে। মনে রাখবেন মানুষ রক্ত দিয়েছে, লড়াই করেছে। মানুষ ১৫ বছর নিপিড়িত-নির্যাতিত হয়েছে।
জালেমের হাতে খুন গুমের স্বীকার হয়েছে। আপনারা সংস্কার করছেন সমস্যা নেই। দুই বছর আগে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছিল। সংস্কারের কথা বলে কেউ কেউ ভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছেন। মনে রাখবেন ভারতীয় শক্তি এই সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিপদগ্রস্থ করার জন্য প্রতিনিয়ত অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যদি এই সরকার সহ জনগণকে রক্ষা করতে হয় তার একমাত্র পথ অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে মানুষের হাতে ক্ষমতা ফেরত দিতে হবে। সময় লাগতে পারে ছয় মাস বা নয় মাস এর বেশি কিছু নয়। সরকারকে বুঝতে হবে যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে জনপ্রতিনিধি না থাকে তাহলে সেই অপশক্তি ভারতীয় আধিপত্তবাদের সহযোগিতায় এই দেশকে আবার লুটপাট করে খেতে চাইবে।
শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির প্রমুখ।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই চাঁদবিল ৩নং ওয়ার্ড বিএনপিসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শত শত নেতাকর্মী সমাবেশে যোগদান করেন।
