প্রায় ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিভিন্ন সময় টাকা দিয়ে এখন প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতারণার বিষয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও ঠুকেছেন প্রেমিক মোঃ মিন্টুর পিতা মোঃ দোয়াত আলী।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ১৮ তারিখে দন্ড বিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় তিনি আদালতে এ মামলাটি করেন। যার নং সি.আর ৪০৯/২০২১।
প্রতারিত হওয়া মোঃ মিন্টু মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানীতে নিয়োগ পেয়ে সেদেশে পাড়ি জমান বলে জানান তার পিতা মোঃ দোয়াত আলী।
মিন্টুর পিতার দাবি, একই উপজেলার ধানখোলা গ্রামের বাগানপাড়ার গোলাম মুহাম্মদ এর মেয়ে মোছাঃ মায়া খাতুন (২৪) তার ছেলেকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন সময় প্রায় ৬লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।
তবে মেয়ের পরিবারের দাবি, বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছে তবে টাকার পরিমান অনেক কম। তারা যে টাকার পরিমান বলছে তা সত্য নয়।
এদিকে ছেলের পরিবারের দাবি আমাদের কাছ থেকে যত টাকা নিয়েছে তার প্রমান রয়েছে।
মামলার বিবরণিতে জানা যায়, ২০১৭ সালে বাদির পুত্র মিন্টু মিয়া মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে থেকেই মোছাঃ মায়া খাতুনের সাথে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মালয়েশিয়া ছেলে চলে গেলেও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে।
মামলার বিবরণিতে বাদি প্রেমিক মোঃ মিন্টুর পিতা মোঃ দোয়াত আলি দাবি করেন, মোছাঃ মায়া খাতুন প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তার ছেলেকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করলে তার ছেলে ঐ মেয়েকে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেয়।
বাদি দোয়াত আলীর দাবি তার ছেলে ঐ মেয়ের প্রেমের ছলনায় পড়ে তার প্রতারণা বুঝতে ব্যার্থ হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মায়া খাতুনের ভাই মুন্না সাংবাদিকদের জানান, আমার বোনের সাথে মিন্টুর মোবাইলে কথা চলত এটা জেনেছি। তবে তার সাথে আমার বোন বিয়েতে রাজি নয়। বোন যদি রাজি থাকে তাহলে বিয়ে করবে।
বিভিন্ন সময় টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, তার সাথে টাকা নিয়েছে এ কথা শুনেছি তবে যে পরিমান টাকার কথা বলা হচ্ছে ওটা সঠিক নয়। তবে তারা যদি উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তবে তাদের টাকা ফেরত দেব।
এদিকে প্রতারণার মামলার বা অভিযোগের বিষয়ে মায়ার ভাই মুন্না বলেন, মিন্টুর পরিবার যেমন মিথ্যা প্রতারনার মামলা করে আমাদের মান হানি করছে আমরাও তার বিরুদ্ধে কোর্টে মানহানির মামলা করেছি।
মামলার কপি দেখতে চাইলে তারা একদিন সময় চায়লেও কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও তা তারা দেখাতে পারেনি।
এদিকে প্রতারণায় অভিযুক্ত মোছাঃ মায়া খাতুনের সাথে কথা বলতে চাইলে সে বাড়ি নাই বলে সাংবাদিকদে তারা জানিয়ে দেয় এমনকি সে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান।