জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী- ২০২১ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত গত ২৮ আগস্ট খুলনা বিভাগীয় আয়োজনে উপজেলা ও জেলা পর্যায় জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবং আজ বিজয়ী দের ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেক জেলা থেকে ৩ জন করে মোট ৩০ জন প্রতিযোগী বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। মায়শা ফারজানা ঐশী “কবিতা আবৃত্তি” ও ” ৭ ই মার্চের ভাষণ” প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ফলাফলের সময় দেখা যায়,”খ” গ্রুপ -“কবিতা আবৃত্তি ” শীর্ষক বিষয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে ২য় স্থান অর্জন করেছে মেহেরপুরের অলরাউন্ডার মায়শা ফারজানা ঐশী। মায়শা ফারজানা ঐশী মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি, সংগীত ও চিত্রাঙ্কন বিভাগের শিক্ষার্থী । মায়শা ফারজানা ঐশী ২০১৩ সালে চিত্রাঙ্কনে জাতীয় পুরষ্কার,২০১৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কতৃক আয়োজিত “গল্প বলা” তে বিভাগীয় পর্যায়ে পুরষ্কার,২০১৬ তে “একক অভিনয়” এ বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার, ২০১৭ তে “কবিতা আবৃত্তি ” ও “একক অভিনয়” এ বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব সহ ২০১৮ সালে রচনা প্রতিযোগিতায় সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা” মায়শা কে নিজ হাতে পুরষ্কৃত করেন। ২০১৯ সালে মঞ্চে সকল বিষয়ে পারদর্শিতার জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা কর্তৃক “মঞ্চকুঁড়ি” পদক অর্জন করে মায়শা। ২০২০ সালে “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে সে বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে সে ৫ বার বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সাংবাদিক জি এফ মামুন লাকী ও রোকসানা মামুন দম্পতির কন্যা মায়শা ফারজানা ঐশী। সে খুলনা বিভাগের “শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিকার” পদকপ্রাপ্ত লামিয়া ফারজানা হৃদি’র ছোট বোন। বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে মেহেরপুরের হয়ে প্রতিনিধিত্বের প্রস্তুতি নিচ্ছে মায়শা ফারজানা ঐশী । সে মেহেরপুরবাসীর সকলের কাছে কাছে দোয়াপ্রার্থী।
previous post
