আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি:
আলমডাঙ্গায় সাপের কামড়ে মুস্তাকিনা খাতুন ঐশী (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ওঁঝা আজব আলীসহ কয়েকজন কবিরাজ মিলে সারা রাত ঝাড়ফুঁক করে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐশীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুক্তাকিনা খাতুন ঐশী আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী শরিফুল ইসলামের মেয়ে। সে এবার এসএসসি পরিক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন।
ঐশীর মামা তালহামিন বলেন বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আমার ভাগ্নি ঐশী। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় একটি সাপ তাকে কামড় দেয়।
এরপর ঐশী ছটফট করতে থাকে। ঘটনার পর থেকে আমার আপন মামা ওঁঝা আজব আলীসহ কয়েকজন কবিরাজ মিলে ঝাড়ফুঁক করতে থাকেন। ঐশীর শরীরে সাপের বিষ ছিল না। সে স্টোক করে মারা যেতে পারে । যদি সাপের বিষ থাকতো তাহলে হাত চালানের সময় ধরা পড়তো। একজনের হয়ত মিস হতে পারে, তবে ৫/৬ জন কবিরাজের হাত চালান মিস হতে পারে না। পরে ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং (ইউপি) সদস্য মো: রাশেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। সাপের কামড়ে মেয়েটি মারা গেছে।সাপে কামড়ানোর পর থেকেই ঝাড়ফুঁক করা হয়। গ্রামের মানুষ সচেতন নয় বা তাদের সচেতন করার জন্য কোন উদ্দোগও নেওয়া হয় না । রাতেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত ছিল।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।
