আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ আল-আমীন হোসেন
আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের জায়গা রাতের আধাঁরে দখল করে রেলিং দিয়েছে ব্রাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক জাকারিয়া হিরো।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে কলেজের ৫৯ বছর দখলে থাকা জায়গা বাঁসের রেলিং দিয়ে ঘিরে রাখে।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উক্ত জমি আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজ ভোগ দখল করে আসছে।বর্তমানে বহিরাগতদের যাতায়াত ঠেকানোর জন্য ২ দিন ধরে কলেজের চারিপাশের মত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে হঠাৎ ব্রাইট স্কুলের স্বত্বাধিকারী জাকারিয়া হিরো সরকারী খাস জমি মালিকানা দাবী করছে এবং অদ্য রাতের আঁধারে বাঁশের চেগার দিয়ে ঘিরে রাখে ।
শুক্রবার সকালে মিস্ত্রি প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে দেখতে পায় রেলিং দেওয়া।তাৎক্ষণিকভাবে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায়।
পরিস্থিতি অন্যরকম হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গনি মিয়া ও এর কিছুক্ষণ পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বলেন সরকারি জায়গা দখল করা এবং এর কাজে বাঁধা দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অন্যদিকে কলেজের শিক্ষকদের দাবী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় একটি কলেজ থেকে অন্য কোন কলেজ নির্মাণ করতে হলে ন্যূনতম ৬ কিলোমিটারের দূরত্ব থাকতে হবে।অথচ ক্ষমতার বলে সরকারি কলেজের সীমানা প্রাচীর ছুয়ে গড়ে উঠেছে ব্র্যাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।কলেজের সীমানার ভিতরে খাস জমি দখলের পায়তারায় চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। এমনকি পাকিস্তানি আমলে খাস জমির উপর নির্মিত আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ব্যামাগার জবরদখল করে সুবিশাল ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়াও জাতীয় স্থাপনা শহীদ মিনার অরক্ষিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় তার নিজের কাজে ব্যবহার করে থাকে। আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গা ঘেসে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করায় বিভিন্ন মহল প্রশ্ন তুলেছে কার ক্ষমতার বলে ক্রমেই অসাধ্যকে সাধন করে চলেছে ব্রাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের স্বত্বাধিকারী হিরো।
এ বিষয়ে ব্রাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের মালিক হিরোর সাথে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।
সাধারন মানুষের মনে একটায় প্রশ্ন সরকারি জায়গা কলেজের ৫৯ বছর দখলে থাকা সত্বেও হঠাৎ কিভাবে দাবী করে। এছাড়াও শএ বিষয়ে ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে আলমডাঙ্গাবাসী।
