মেহেরপুর রমেশ ক্লিনিকে অপারেশনের ২ দিন পর মারা গেলো একই ক্লিনিকের স্টাফ নার্স স্বর্ণালী খাতুন নামের এক নারি। এদিকে ক্লিনিক বন্ধের দাবিতে লাশের গাড়ি নিয়ে এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ করেন। এসময় শহরের মল্লিকপাড়া সড়কে সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ থাকে। শনিবার দুপুরের পর থেকে ওই সড়কে অবরোধ করে এলাকাবাসী।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে মেহেরপুর রমেশ ক্লিনিকের স্টাফ নার্স স্বর্ণালী এপেন্ডিসাইটিস রোগে আক্রান্ত হন। গত বৃহস্পতিবার ডা. রমেশ ক্লিনিকেই তার এপেন্ডিসাইটিস রোগের অপারেশন করা হয়। অপারেশনের কিছুক্ষণ পর স্বর্ণালী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় স্বর্ণালীর মৃত্যু হয়েছে এই মর্মে গুজব ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে রমেশ ক্লিনিক এর দিকে চড়াও হন। পরে রুগীর অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে স্বর্নালীকে, মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
হাসপাতালের আইসিইউতে স্বর্ণালীর অবস্থা আরো অবনতি হলে শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে, শনিবার সকালের দিকে সেখানে পৌঁছে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বর্ণালীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এদিকে স্বর্ণালীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে, শনিবার সকাল থেকে শহরের মল্লিকপাড়া রমেশ ক্লিনিক এর সামনে অবস্থান করেন মৃত স্বর্ণালীর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন।
পস্থিতি সামাল দিতে সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান করতেে দেখা যাই, আইসৃংখলা রক্ষাাকারি বাহিনির সদস্যদের। , পরে, দুপুরের পর স্বর্ণালীর মরদেহ মেহেরপুরে এসে পৌঁছালে স্বর্ণালীর মরদেহ বহন কারী অ্যাম্বুলেন্সটি রমেশ ক্লিনিক এর সামনে রেখে এলাকাবাসী ক্লিনিক বন্ধের দাবিতে অবরোধ শুরু করেন। এ সময় এলাকাবাসী রমেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার, বিচারের দাবি জানান। এলাকার শত শত নারী পুরুষ দীর্ঘক্ষণ রাস্তার উপরে অবস্থান করেন।
এ সময় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকে ঐ সড়কে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন উল্লেখিত ঘটনায় পরিবারের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ করা হয়নি অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রমেশ ক্লিনিকের সিনিয়র নার্স এক সন্তানের জননী স্বর্ণালী খাতুন, মেহেরপুর শহরের পেয়াদা পাড়ার, আদম আলির কন্যা ও মেহেরপুর মল্লিক পাড়ার সাদ্দাম হোসেন এর স্ত্রী।
ঘটনাস্থালে থাকা স্থানীয় লোকজন বলেন, রমেশ ক্লিনিক এর এমন ঘটনা নিত্যদিনের খবর,, প্রায় সেখানে শোনা যাই স্বজন হারানোর কান্না, তবুও কোন বিচার হয়না তাদের, কেননা টাকার প্রভাবে সবাইকে চুপ করিয়ে দেই এই ক্লনিক কর্তৃপক্ষ। স্বর্ণালির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটবে। ক্লিনিকের সামনে লাশের গাড়ি রেখে অবরুদ্ধ করে রাখার এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও নার্স স্বর্ণালির পরিবারে লোকজন এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান করা হয়, এঘটনায় টাকা লেনদেন এর মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে বলেও জানান অনেকে,,।
তবে এক্ষেত্রে ডা. রমেশ ক্লিনিক এর ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, টাকা লেনদেননএর মাধ্যমে সমাধানের বিষয় টি পুরো অস্বীকার করে বলেন, সে সুধু আমার ক্লিনিকের স্টাফ নয় সে আমার মেয়ের মতো ছিলো,, একটা ঘটনা ঘটেছে ঠিকি তবে এক্ষেত্রে স্বর্ণালীর মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবার মেনে নিয়ে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
পরে মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এবং ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। খবর পেয়ে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল রমেশ ক্লিনিকে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং ক্লিনিক মালিক পক্ষের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা শেষে সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।