মেহেরপুর বিসিক শিল্প নগরির উপ-ব্যবস্থাপক (ডেপুটি ম্যানেজার) শামসুজ্জামান মিঠু ( অনুমান, ৪৫থেকে ৫০) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ৮টার দিকে বিসিক শিল্প নগরীর কার্যালয়ের পিছোনে পুকুর পাড়ের একটি আমগাছের ডাল থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শামসুজ্জামান মিঠু ঝিনাইদহ স্টেডিয়াম পাড়ার সওগাতুল ইসলামের ছেলে। গত ১১ জুলাই শামসুজ্জামান তার চাকুরিতে পদোন্নতি লাভ করে দ্বিতীয় মেয়াদে মেহেরপুর বিসিক শিল্প নগরীতে যোগদান করেন।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোরের কোন এক সময় তিনি আম গাছের ডালের সাথে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিক ধারণা করছেন।
জানাগেছে শামসুজ্জামান মিঠু, বিসিকে চাকরি জীবন শুরু করার পর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এর আগে মেহেরপুর জেলায় দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে স্থানীয় লোকজন দের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরে এখান থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার পর আবারো মেহেরপুর আসার জন্য বিভিন্নভাবে তদবির করার মাধ্যমে চাকরিতে পদোন্নতি লাভ করে আবারো মেহেরপুরে চলে আসেন।
যদিও শামসুজ্জামান মিঠুর পরিবারের লোকজন মেহেরপুরে চাকরি করুক এটি চাইতেন না। পরিবারের সাথে এই দূরত্বের কারণেই আত্মহত্যা পথ বেছে নেন বলে মনে করেন অনেকেই।
স্থানীয় কই একজন যানান,,শামসুজ্জামান প্রতিদিন ভোরে হাঁটাহাঁটি সহ শরীর চর্চা করতেন, সেই সুবাদে কই একজন তার খোজ করেন, খোজ করে না পেলে শিল্প নগরীর এক পাশে শামসুজ্জামান এর মোটরসাইকেল দেখে সেই দিকে গিয়ে খোজ করেন।
এক পর্যায়ে, বিসিক শিল্প নগরীর অফিসের উত্তর পাশে, শহরের দিঘিরপাড়ার জনৈক আঙ্গুর হোসেনের পুকুরের উত্তর পাড়ে একটি আম গাছে মরদেহ ঝুলতে দেখে এসময় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন । খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
শামসুজ্জামানের বাড়ি ঝিনাইদহ হলেও তার পরিবার চুয়াডাঙ্গাতে অবস্থান করতেন। শামসুজ্জামান মেহেরপুরের দ্বিতীয়বারের মতো যোগদান করার পর চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা যাওয়া করতেন।
মাঝে মধ্যে তিনি অফিসের একটি কক্ষে রাত্রি যাপন করতেন। শনিবার বিকালের দিকে মোটরসাইকেল যোগে তাকে বেসিক শিল্প নগরীর এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন অনেকেই। শামসুজ্জামানের স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে।
