খুলনার রোডমার্চে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া মেহেরপুর জেলা বিএনপির গাড়ি বহরে হামলায় জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে যশোর বারো বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির রোড মার্চে মেহেরপুর থেকে খুলনা অভিমুখে সকাল সাড়ে ৭টার সময় বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে শত শত নেতা কর্মী রওনা হয়। রোডমার্চকে ঘিরে সকাল সাড়ে ৭ টার সময় কয়েক হাজার নেতা কর্মী মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত হয়। এদিকে রোডমার্চ সফল করতে ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন মেহেরপুরের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মেহেরপুর জেলা থেকে ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। শুরুতেই ঝিনাইদহে পথসভা এবং পথসভা শেষ করে যশোর হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয় মেহেরপুর থেকে যাওয়া নেতাকর্মীরা। এসময় যশোরের বারোবাজার নামক স্থানে পৌছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে থাকা সেখানকার স্থানীয় লোকজন তাদের গাড়ির গতিরোধ করো করে রোডমার্চে যাওয়া মেহেরপুরের নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
হামলায় গুরুতর আহত হয় মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, যুব নেতা উজ্জল, ছাত্রনেতা ফুর্তি, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম, মাহাতাব, নবীনদলের দপ্তর সম্পাদক সোহাগসহ ট্রাক চালক রাজু। এসময় গাড়ি বহরে থাকা বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা দ্রুত এসে আহতদেরকে উদ্ধার করেন পরে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মেহেরপুরে পৌছিয়ে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন আহত এ সকল নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ বলেন, বিএনপির রোডমার্চ উপলক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল নেতৃবৃন্দ ঝিনাইদহে পথসভা শেষে খুলনার উদ্দে্যশে রওনা হই। পথিমধ্যে বারোবাজার নামক স্থানে পৌছালে আমাদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুরসহ প্রায় দশজন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। তিনি আরও বলেন আওয়ামী নামধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর এই অমানবিক হামলা চালায়। আমরা এই নির্লজ্জ হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।