আল- আমিন হোসেন
মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার প্রচেষ্টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সহযোগিতায় অবশেষে গৃহ নির্মাণের জন্য এক বান টিন ও নগদ তিন হাজার টাকা পেলেন চিকিৎসার অভাবে সদ্য মারা যাওয়া প্রতিবন্ধী পুকিয়া খাতুনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সাবানা খাতুন ।বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে এর থেকে ভালোবাসার কি হতে পারে।
আজ সকাল সাড়ে এগারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস ও উপজেলা (পি আইও) এনামুল হক এর সহযোগীতায় এ অনুদান প্রদান করা হয় ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, পি আইও এনামুল হক, মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী সভাপতি সাঈদ হিরন, সিনিয়র সহ সভাপতি ইউনুচ আলি মন্ডল , সহ সভাপতি মানোয়ার হোসেন, মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন বিষয়ক সচিব খোঃ সালাহ উদ্দিন মুক্তার, কোষাধ্যক্ষ ছাইদুল ইসলাম।
এর আগে শীতকালীন সময়ে মানবাধিকার কর্মীরা গ্রামে গ্রামে কম্বল বিতরণের সময় দেখতে পায় জামজামি গ্রামের প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এমনকি তার মেয়েও প্রতিবন্ধী । জরাজীর্ন একটি টিনের চালার নিছে ঠান্ডা মাটির উপরে নিথর দেহ নিয়ে পড়ে আছে প্রতিবন্ধী পুকিয়া খাতুন। এমনকি খাওয়ার সময় কুকুর পর্যন্ত তার থালায় বসে যাওয়াতে প্রতিবেশীরা খাবার পর্যন্ত দিতে চায় না।
এমতাবস্থায়তাবস্থায় মানবাধিকার কর্মীরা ও উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে ঠান্ডা মাটি থেকে উঁচা জায়গায় রাখার জন্য কাঠের চৌকির ব্যবস্থা করে দেয়। এমন খবর শুনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুকনা খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করে তার জন্য।
কিন্তু চিকিৎসার অভাবে কাঠের চৌকিতে শোয়ার ভাগ্যে বেশীদিন জোটেনি। চৌকির ব্যবস্থা করার ১০ দিন পরেই আপন ঠিকানায় পাড়ি জমিয়েছে প্রতিবন্ধী পুকিয়া। মাটির দেহ মাটিরই ঘরে সারাজীবনের জন্য ঠাঁই হলো।
একমাত্র ভরসা প্রতিবন্ধী মার মারা মৃত্যুর পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে শাবানার বড়ই একা হয়ে যায়। হিংস্র পশুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জোড় দাবি ছিল একটি ঘরের ব্যবস্থা করা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার জামজামি গ্রামের মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত পুকিয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা খাতুনকে মানবাধিকার কর্মীদের উপস্থিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইও ঢেউটিন ও নগদ টাকা সাবানা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করেন।
