জুলফিকার আলী আবীর:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় দখল কেন্দ্র করে শিক্ষকদের সাথে জমির মালিক দাবীকারি একটি পরিবারের লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন (৫৫) ও হিজলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন মিঠু। এছাড়াও শিক্ষক সমিতির আরো ৮-১০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে সমিতির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
অপরদিকের আহতরা হলেন-বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের নিজাম উদ্দীন (৪০), মোজাম হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (২৮), হাবিবা খাতুন (৩৫)। আহতদের মধ্যে শিক্ষিকা সোহেলী খাতুন (২৮) ও সুমাইয়া খাতুন (২৫) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এবং উভয়পক্ষের বাকীরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কের পাশেই গাংনী বাঁশবাড়ীয়া গ্রামস্থ গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় স্থাপিত। ক্রয় সূত্রে শিক্ষক সমিতি জমির মালিকানা দখলে রয়েছে কয়েক বছর থেকে। সেই সাথে শিক্ষক সমিতির ঘর নির্মাণও করা হয়েছে। ইদানিং বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের কুতুব উদ্দীন ও নিজাম উদ্দীন গং জমির মালিকানা দাবি করে সেখানে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। জমিটি দখল করতে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত হয় এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত : ২০ জন আহত হন। সেই সাথে শিক্ষকরা মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক অবরােধ করেন। পরে খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী ও গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
