মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের শালদহ গ্রামের এক যুবতী বাক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০ দিকে শালদহ স্কুল পাড়ার বাড়ীর পাশের দোপের মাঠে ভেটুল গাছের নিচে এঘটনা ঘটে।
প্রতিবন্ধীর ভাই আঃ মালেক জানান,আমার বোনটি বাক প্রতিবন্ধী সে বাড়ীতে থাকে পাড়ার ইয়াং ছেলেরা বিষয়টি দেখে ধর্ষক কাউছারকে তাড়া করলে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে আমাকে খবর দেন যে কাউছার নামের একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও চা দোকানি আমার বোনকে নিয়ে গেয়িছে। সাথে সাথে আমরা খোঁজ করতে গেলে বাড়ীর পাশে দোপ মাঠে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। আমি এই ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিবো।
ধর্ষক শালদহ গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা কাউছার আলী ওরফে সকা পালিয়ে গিয়েছে।
এঘটনার পর থেকে সকা পলাতক আছে। বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার হাতের ইসারায় বলেন, তাকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছেন। সকা ছাড়াও আরও দুজন এর সাথে জড়িত আছে বলে দাবী করেছেন তিনি।
গ্রামের প্রবীন মানুষেরা বলেন, কাউছার খুব খারাপ প্রকৃতির লোক ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য এই ঘটনার পর থেকে কাউছার পলাতক আছে।তবে এঘটনায় কঠিন শাস্তির দাবী করছি।
এব্যাপারে ধর্ষক কাউছারের বাড়ীতে গেলে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায় নি। এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলাইয়েন সেপু জানান,আমি বিষয়টি শুনেছি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।তবে কাউছার আওয়ামী লীগের কোন নেতা না। আওয়ামীলীগ দলকে সাপোর্ট করে।
এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
