মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী বাসস্ট্যান্ডে ফোরলেনে উন্নীত করণের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে প্রায় তিন মাস। সংস্কার কাজ চালু ও সঠিক নকশা বাস্তবায়ন করতে স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে সরেজমিন তদন্ত করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক গঠিত সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এ কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেনের নেতৃত্বে সরেজমিন তদন্ত করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন ও গাংনী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন। জনস্বার্থে জনগণের দাবির মূল্যয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক শামীম হোসেন।
জানা গেছে, ফোরলেন সড়ক সংস্কার কাজে সঠিক নকশা অনুযায়ী গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলকায় জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি ও কয়েকটি দোকান অপসারণ জটিলতা দেখা দেয়। এতেই ফোরলেন সড়ক সংস্কার ও প্রশস্থকরণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গেল দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ। এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসন। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা গাংনী বাজার ও রাস্তা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, গাংনী বাসস্ট্যান্ডের বর্তমান যে ছোট্ট গোলাকার আইল্যান্ডটি রয়েছে তা তিন রাস্তার মিলনস্থল। গাংনী-মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এবং হাটবোয়ালিয়ার দিকে তিনটি রাস্তা বিদ্যমান। এই তিন রাস্তার মিলিত স্থান থেকে সহজে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের জন্য এখানে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশাঁয়। এ নকশাঁ বাস্তবায়ন না হলে সড়কে বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটবে। সৌন্দর্য হারাবে শহর। জনগনের দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণের পক্ষ থেকে যাত্রী ছাউনি ও দোকান ভেঙ্গে অপসারণের হুশিয়ারী করেছেন আন্দোলনকারীরা।
