মেহেরপুরের গাংনীর কোদাইলকাটি গ্রামে মিথ্যা মামলায় আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আব্দুল বারী ও তার শরীকগণ। একই গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন মেহেরপুর যুগ্ম জজ আদালতে ভূয়া দলিল দিয়ে জমি দখল পেতে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধিন।
বিবাদী আব্দুল বারী গংয়ের মিজানুর রহমান জানান, রেকর্ড মূলে এসএ খতিয়ান নম্বর ৭, দাগ নম্বর ১২৫ এ ২ একর ১৭ শতাংশ ও সিএস ৪৫ খতিয়ানের ১২৭ দাগে ৩ একর ১৬ শতাংশ জমির মালিক। সিএস, এসএ, ও আর এস রেকর্ডমূলে দীর্ঘ দিন যাবত এ সম্পত্তি ভোগ দখল করছেন তারা। কিন্তু হঠাৎ গ্রামের নজরুল গং এ সম্পত্তির মধ্যে ওই দুই দাগের ৩ একর ১৮ শতাংশ জমি তাদের নিজের বলে দাবী করেন। এবং মেহেরপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা-কুষ্টিয়ার ০১/০১/১৯৬২ সালের ১৩ নং দলিল মূলে এ জমি দাবী করলেও সেটি ভূয়া বলে বিবেচিত। অথচ এ দলিল বলেই ২০০৭ সালে যুগ্ম জজ আদালত আমলী, গাংনীতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৫/০৭।
বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ১৯৫০ সালের রাস্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনে ২৭ হতে ৩১ ধারা অনুযায়ি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত এসএ খতিয়ান প্রস্তুত হয়। সে অনুযায়ি ১৩ নং দলিরের সম্পত্তি এসএ এবং আর এস রেকর্ড হওয়ার কথা অথচ সেটি হয়নি। ফলে দলিলটি ভূয়া বলে বিবেচিত এবং সর্বস্বত্ব মূল মালিক আব্দুল বারী গংয়ের বলে প্রতিয়মান হয়। অথচ নজরুল গং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সম্পত্তি নিজের বলে দাবী করে প্রতিপক্ষকে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নজরুল গংয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বিবাদী আব্দুল বারী গং আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন।

 
 