স্টাফ রিপোর্টারঃ
আলমডাঙ্গাতে যত্রতত্র ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করা হচ্ছে পণ্য কোন নিয়মকানুনের বালাই নেই ব্যবসায়ীদের মাঝে। সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে নেই কোন তদারকি।
সরজমিনে যেয়ে দেখা গেছে আলমডাঙ্গা লাল ব্রিজ টু হারদী রাস্তা, আলমডাঙ্গা সোনাপট্টি টু চারতালার মোড়, আলমডাঙ্গা সাদা ব্রিজ টু কুষ্টিয়া রোডে যত্রতত্র ট্রাক দাঁড় করিয়ে পন্য লোড- আনলোড করা হচ্ছে।সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে অন্যদিকে মালিকপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি-ধামকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে স্তব্ধ করে রাখছে।
কথায় আছে একটা ফুল বাগান নষ্ট করার জন্য একটা হুতুম পেঁচায় যথেষ্ট, কিন্তু হুতুম পেঁচা বসে গেছে প্রত্যেক ডালে ডালে, ফুল বাগানের অবস্থা কি হবে আল্লাহ্ ভালো জানে।
দিনের বেলায় আলমডাঙ্গা পৌরসভার ভেতর কোন ট্রাক ঢোকার অনুমতি না থাকলেও হর হামেসায় ঢুকছে ট্রাক।
গত ৬ই আগস্ট সোমবার লাল ব্রিজ সংলগ্ন আড়তের সামনে রাস্তার উপর ট্রাক দাড় করে মালামাল তোলার সময় হারদী থেকে আলমডাঙ্গাতে পাখি ভ্যানে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ মহিলা যাত্রী বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি পাখি ভ্যানে ট্রাক দাড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তা সংকোচিত হওয়ায় সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়ে মহিলা ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়।
অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার ব্যস্ততম সড়ক সোনাপট্টির রোডে ট্রাক আনলোড করার সময় শত শত যানবাহনে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এদিকে মানবাধিকার ও সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী সভাপতি কাজী রবিউল হক বলেন দিন যত যাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু রাস্তার আয়তন তো বাড়ছে না যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানো পাখি ভ্যান, নছিমন এগুলোর জন্য রাস্তাঘাটে জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষের।
এছাড়াও তিনি বলেন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা না করাও অনেকাংশে এর জন্য দায়ী। মানুষ অভ্যাসের দাস। এ সমস্যা যদি এখনই সমাধান না করা যায় সামনে এর থেকে ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে আলমডাঙ্গাবাসীর জন্য। তিনি বলেন এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার, ভোক্তা অধিকার থেকে যে অভিযানগুলো পরিচালনা হতো তা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনতো। কিন্তু বর্তমানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বাদে তেমন কোনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় না। এছাড়া আলমডাঙ্গা সাদা ব্রীজ, হাউসপুর বীজ সপ্তাহে দুইদিন হাটের দিন এবং বুধবারে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দেখার যেন কেউ নেই। সব হ-জ -ব-র-ল অবস্থা। তিনি বলেন যখন অনিয়ম, দুর্নীতি একটা আইন হয়ে যায়, সেই মুহূর্তে প্রতিবাদ করা একটা দায়িত্ব বনে যায়। জনগণ যখন ক্ষেপে উঠবে তখন হয়তো সমাধান হবে কিন্তু কথায় আছে, স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে,, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। আলমডাঙ্গা শহরকে সিসি ক্যামেরাতে অন্তর্ভুক্ত করার পরেও কবে পাবো এর সুফল? প্রশ্ন থেকেই যাই।
