আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
আলমডাঙ্গা উপজেলাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত। আজ ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রবিউল হকের নেতৃত্বে আজ বিকাল ৪ টার সময় আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন বাবুপড়াতে দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার অনুষ্ঠানে কাজী ওমর ফারুকের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করে এবং সুরা ফাতেহা পাঠ, দরুদ শরীফ পাঠশেষে ইসলামে দেশপ্রেমের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা ও দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে সদস্য সচিব এ কে এম ফারুকের সঞ্চালনায় দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রবিউল হক,নির্বাহী সদস্য অগ্নি সেনা মঈনুদ্দীন পারভেজ, খোঃ সালাউদ্দিন,কবি মামুন খন্দকার, কাজী স্নিগ্ধা হক,আজিজুল হক, শেখ মহিদুলসহ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা এ সময় বক্তারা বলেন ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে এক অশ্রুময় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে অন্ধকার নেমে এসেছিল। অশ্রু হয়ে সেই শোক বহুদিন ধরে জ্বলছে। এখন বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি আর এই হত্যাকাণ্ডের উসকানিদাতারা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। পথে-ঘাটে, রাজনীতির মঞ্চে কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় ঘাতক এবং তাদের সমর্থকদের রক্তচক্ষু ইদানীং আর দেখতে হয় না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আলমডাঙ্গা বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা বাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রতিষ্ঠাতার আহ্বায়ক কাজী রবিউল হক।