আমার বউকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে তা না হলে আমি আত্মহত্যা করবো। বাসাউর রহমান নামের এক যুবক মোবাইল ফোনে এমন একটি মেসেজ মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে দেন। জেলা প্রশাসক তাকে মেহেরপুরে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বাসাউর ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের ইশার আলীর ছেলে। বাসাউর রহমান জানান, গত বছর ২৮ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের কাওসার আলীর মেয়ে সুম্মা খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই সুম্মা খাতুন বাসাউরকে তালাক দেয়। কি কারণে তালাক দেয় বাসাউর সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
তার স্ত্রীর তালাক নোটিশ পেয়ে সে একাধিকবার আত্মহত্যা করার প্রস্তুতি গ্রহন করে। পরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে একাধিক মেসেজ পাঠান। মেসেজে উল্লেখ করেন আমার বউ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, নতুবা আত্মহত্যা করার অনুমতি দিতে হবে। একই সাথে মোটা অংকের বেতনে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, তা না হলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়।
পরে রবিবার বিকালের দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে একই কথা বলে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নাজির আফতাব আলী খান মেহেরপুর সদর থানায় একটি জিডি করেন। পরে বাসাউর রহমানের পিতা ইশার আলি ও ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামকে মেহেরপুরে নিয়ে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
previous post