স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুফিয়া খাতুন বলেন। ২৫ টি বছর ৭ বছরের মেয়েকে নিয়ে কেটেছে সীমাহীন কষ্টে।অন্যের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে কেটেছে ১২ টি বছর।সমস্ত কষ্টকে নিজের বুকে ধারণ করে মেয়েকে নিয়ে ভেসেছিলাম দুঃখের সাগরে।স্বামী আর কখনোই ফিরে দেখেনি।আজ আমার খুব আনন্দ লাগছে। কারণ আর করতে হবেনা ভিক্ষা,ঘুরতে হবে না অন্যের দ্বারে দ্বারে। এটা মনে পড়ে যেন একটু সুখের ছোঁয়া লেগেছে প্রাণে।প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি গরু উপহার দিয়েছে।দীর্ঘ ১২ বছরের ভিক্ষা জীবনের অবসান ঘটলো আর কখনোই ভিক্ষা করবো না।এমনটাই বলছিলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মোছাঃ সুফিয়া খাতুন।
সুফিয়া খাতুন বলেন,আর ভিক্ষা করবো না। প্রধানমন্ত্রী টাকা দিয়েছে।সেই টাকা দিয়ে একটা গরু কিনে দিয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান।আর কিছু টাকা আছে অন্য কাজ করবো। এই নিয়ে আমি চলবো।অন্যের দ্বারেদ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করা খুব কঠিন ও লজ্জার কাজ।অনুপায় হয়ে বেছে নিয়েছিলাম ভিক্ষার পথ।মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।আজ থেকে আর ভিক্ষা করবো না।প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলাম,আর অন্যের দ্বারেদ্বারে ঘুরতে হল না।গরু-ছাগল পুষবো আমার চলে যাবে।আজ আমার ১২ বছরের ভিক্ষা জীবনের অবসান ঘটলো।
শুক্রবার (১৬-০৯-২০২২ ইং) বিকেলে উপজেলার বামন্দী গোহাটে ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল সুফিয়া খাতুনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ উপহার তুলে দেন।
বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল জানান, ভিক্ষুকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সুফিয়া খাতুনের হাতে তুলে দেয়া হলো।ভিক্ষা করা খুব লজ্জাজনক একটা পেশা।কিন্তু চক্ষু লজ্জা উপেক্ষা করে অভাবের তাড়নায় সে ভিক্ষা করতো।আজ সে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার পেয়ে খুব খুশি।সে আর কখনো ভিক্ষা করবে না।প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন সুস্থ থাকেন আর সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বামন্দী ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন,৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছাঃ সাগরিকা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিল।