মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের কাথুলী মোড় এলাকায় তাসনিম উর্মি (২৩) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্স পলাতক রয়েছেন।
এক পুত্র সন্তানের জননী উর্মি গাংনী উপজেলার শহরের কাথুলী মোড় এলাকার আশরাফুজ্জামান প্রিন্স এর স্ত্রী ও একই উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে। উর্মি বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান, গভীর রাতে উর্মি শশুর হাসেম শাহ্ মোবাইল ফোনে জানান, মেয়ে উর্মীর অসুস্থ তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
অসুস্থতার কারন জানতে চাইলে উর্মি শশুর বলেন উর্মীর ঘরের জানালার সাথে ফাঁস দিয়েছে । সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারেন উর্মী অনেক আগেই মারা গেছে। উর্মীরর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
পরে পুলিশে খবর দিলে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল লাশ থানা হেফাজতে নেয়। স্থানীয়রা জানান,প্রিন্স ছিল মাদকাসক্ত। প্রতিনিয়ত সে কারণে-অকারণে তার স্ত্রীকে মারধর করতো। উমির পারিবারিক সূত্র জানায়,উর্মি ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার স্বামীও কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা ৪ বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর তাদের সংসারে রয়েছে আবনাব আবিব প্রত্যয় নামের ১৩ মাস বয়সী শিশু পুত্র।
উমির্র স্বামী প্রায়ই তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। এ-দিন রাতে উর্মিকে শাসরোধে হত্যার পর তার লাশ ঘরের জানালার সাথে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,উর্মির শরীরের আঘাতের আলামত রয়েছে। ময়না তদন্তের পর কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব হবে। বলে জানিয়েছেন।