ডেস্ক রিপোর্ট:
খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫৬ জনের। শুক্রবার (০৯ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে গত ৭ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে । এছাড়া কুষ্টিয়া জেলায় ১৪ জন, যশোর জেলায় ৯ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১০ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছয়জন, মেহেরপুর জেলায় পাঁচজন, বাগেরহাট জেলায় দুজন, এবং মাগুরা ও নড়াইল জেলায় একজন করে মারা গেছেন।কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৮৮৩ জনের। মোট মারা গেছেন ৩১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৯ জন। মোট মারা গেছেন ১১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৪ জন।খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা এবং ভারত থেকে অনেক রোগী এবং লোক আসছেন। বেনাপোল ও দর্শনা স্থলবন্দর থাকার কারণে সকল রোগী খুলনা-সাতক্ষীরার উপর থেকে ট্রান্সপোর্ট হচ্ছে। যার কারণে এই অঞ্চলে রোগটি ছড়িয়ে যাচ্ছে। হয়তো একজন লোক আসলেন এবং তিনি ছড়াতে ছড়াতে গেলেন। হয়তো এক সপ্তাহ পরে তার পজিটিভ হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের অসচেতনতার কারণে রোগটি একটু বেশি ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, লকডাউনের আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। যে কারণে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। লকডাউন অব্যাহত থাকলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
তথ্য ও সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক।